স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ৩০শে জানুয়ারী চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ওয়াডের্র ন্যায় ৫নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদে প্রতিদন্ধী প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমে পড়েছেন। মধ্যম চাঁন্দিশকরা এবং পশ্চিম চাঁন্দিশকরা নিয়ে এ ওয়ার্ডটি গঠিত। পৌরসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ডে ইতোমধ্যেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৬-৭জন প্রার্থী। আগামী কয়েকদিনে আরও ২-১জন হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন বলে জানা যায়।
৩০শে ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে আবারো প্রতিদন্ধীতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর পৌরসভার পশ্চিম চাঁন্দিশকরা গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ফরিদ উদ্দিন বাদশা। ইতোমধ্যেই চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পূর্ব থেকেই ছোট ছোট মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আবারো নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এলাকার সামাজিক ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে এবং সার্বিক সহযোগীতায় ইতোমধ্যেই নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন ফরিদ উদ্দিন বাদশা। প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচিত হলে পাশে থেকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
এসময় ফরিদ উদ্দিন বাদশা বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ সময়ে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হই। এলাকার প্রভাবশালী ২টি গোষ্ঠীর বাইরে আর কেউ চাঁন্দিশকরায় নির্বাচিত হতে পারেনা এ ধারনাকেও ভুল প্রমাণিত করেছি। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হই। ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ আমার উপর অন্যায়ভাবে জুলুম ও নিপীড়ন চালিয়ে আমাকে জনগণের পাশ থেকে সরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় পৌরসভা থেকে আমার ন্যার্য্য পাওনা মাসিক সম্মানিসহ পৌরসভার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় বছরের পর বছর। এমনকি পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প আমাকে না নিয়ে নিজস্ব লোকদের দিয়ে করানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতার বই বিতরণ কার্যক্রমে পর্যন্ত আমাকে বঞ্চিত করা হয়। তারা শুধু এতেই ক্ষান্ত হয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর পুলিশ দিয়ে আমার বাড়ি-ঘর তল্লাশি, হয়রানী, মামলা প্রদান করে আমাকে দেশ ছাড়া করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এই ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের সাথে আমার ওয়ার্ডের লোকও জড়িত। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যাশা ছিল তাদের অব্যাহত অত্যাচারে, চাপে, নির্যাতনে আমি দেশ ত্যাগ করে আর দেশে ফিরবো না। কিন্তু তাদের ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করে সরকারী কোন সহযোগীতা না পাওয়া শর্তেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ওয়ার্ডের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি সাধ্যমতো। এলাকার গরীব, দু:খী মানুষের চিকিৎসায় সহযোগীতা করেছি, বিবাহ অনুষ্ঠানে অস্বচ্ছল পরিবারকে সহযোগীতা করেছি, বিপদগ্রস্থদের পাশে দাড়িয়েছি। করোনাকালীণ সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩ ধাপে গ্রামের অন্তত ৫০০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিদন্ধী অধিকাংশ প্রার্থীই সরকার দল সমর্থক। যেহেতু বিগত ৫ বছর আমাকে প্রশাসনিকভাবে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে সেহেতু এবার যাতে নির্বাচিত না হতে পারি সেজন্য একটি মহল কেন্দ্র দখল কিংবা জোরপূর্বক নির্বাচিত হওয়ার পায়তারা করছে। আশা করি স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি আমার এ ত্যাগের বিনিময়ে ওয়ার্ডবাসী আবারো ভোটের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করে এর প্রতিদান দিবেন। ঈনশাআল্লাহ আগামী ৩০শে জানুয়ারী জনগণের ভোটের বিনিময়ে আবারো নির্বাচিত হলে আমার শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে জনগণের পাশে থাকবো। পাশাপাশি এলাকাবাসী যাতে সরকারী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য নিজের অস্তিতকে সঠিক রেখে যেই মেয়র নির্বাচিত হউক তার সাথে সমতার ভিত্তিতে সু-সম্পর্ক তৈরি করে এলাকার উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান করবো। সর্বোপরি এলাকাবাসীর ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।