স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন অপরাধের হোতা মেম্বার বজলুর রহমানকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। মারামারির ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রোববার দুপুরে তিনি কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করেন। বজলুর রহমান উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের কলিম উদ্দিনের পুত্র ও ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোপালনগর গ্রামের দোকানে যাওয়ার পথে শরাফত উল্লাহকে বর্তমান ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানের নেতৃত্বে বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ আদালতে বজলুর রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরমধ্যে নাজমুল মিয়া নামের একজন আসামী মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল রানা গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া অপর আসামীদের খালাস দেন।
অপরদিকে চলতি বছরের ১২ মার্চ ইউপি মেম্বার বজলুর রহমানকে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ বেতিয়ারা টাওয়ার নামের একটি বাসা থেকে প্রবাসীর স্ত্রীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে পুলিশ। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ মে ভোট কেন্দ্রে মারপিটের ঘটনায় বজলুর রহমানকে ১নং আসামী করে আরেকটি মামলা করা হয়।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, ইউপি মেম্বার বজলুর রহমান বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছিল। তার মতের বিরুদ্ধে কিছু হলে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।